সংবাদ ডেস্ক :: নবনিযুক্ত তিন মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে দপ্তর বন্টনের পাশাপাশি চারমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দপ্তর পুনর্বন্টন করা হয়েছে। নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের মধ্যে এ কে এম শাহজাহান কামালকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, তথ্য-প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বারকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়েছে।
নবনিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রুলস অফ বিজনেস, ১৯৯৬ এর রুল ৩ (রা) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এসব মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বন্টন ও পুনর্বন্টন করেছেন।
আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব জানান, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে সমাজকল্যাণমন্ত্রী, এ কে এম শাহজাহান কামালকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী করা হয়েছে।
পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী করা হয়েছে। আর এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকা আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে করা হয়েছে পানিসম্পদমন্ত্রী।
এছাড়াও প্রতিমন্ত্রী থেকে মন্ত্রী হওয়া নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে তার আগের মন্ত্রণালয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী করা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে দেয়া হয়েছে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
এছাড়াও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা নুরুজ্জামান আহমেদ এখন থেকে এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।
মঙ্গলবার নতুন তিনজন মন্ত্রী এবং একজন প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে সরকারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বঙ্গভবনে গতকাল সন্ধ্যায় তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কয়েকজন মন্ত্রী এ শপথ অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম।