সংবাদ ডেস্ক :: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের অতীত বিষয়ক বক্তব্য ও তুলনাকে বর্তমানের কথা ধরে নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর কিছু সংখ্যক দৈনিক পত্রিকা এবং অনলাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যায় একথা বলা হয়। এতে বলা হয়, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে দৈনিক মানবজমিন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও আমাদের সময়সহ কিছু সংখ্যক দৈনিক পত্রিকা এবং অনলাইন মিডিয়ায় ‘খালি অফিসাররা চোর না’, ‘সহনশীল হয়ে ঘুষ খাবেন’ এবং ‘সহনশীল মাত্রায় ঘুষ খাওয়ার পরামর্শ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে প্রকাশিত সংবাদে ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ রয়েছে। উল্লেখ্য ২৪ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঢাকায় পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ল্যাপটপ ও প্রশিক্ষণ সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী এ অধিদপ্তরের অতীতের বিশেষ করে আট বছর আগের উদাহরণ দিতে গিয়ে ডিআইএ’র কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমানে পিয়ার ইনস্পেকশন ও ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থা চালুর ফলে এ অবস্থার অনেক পরিবর্তন ও উন্নতি হয়েছে। ডিআইএ’র কর্মকর্তাদের কোন অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি ডিআইএ’র একজন কর্মকর্তাকে দুর্নীতির প্রমাণসহ দুদকের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়েছে। মন্ত্রী ঘুষ-দুর্নীতি বিষয়ে ডিআইএসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার প্রতি জিরোটলারেন্স নীতি স্মরণ করিয়ে দেন। কিন্তু প্রকাশিত সংবাদগুলোতে ডিআইএ’র অতীত বিষয়ক বক্তব্য বা তুলনাকে বর্তমানের কথা ধরে নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। যা দুঃখজনক, বিভ্রান্তিকর ও শিক্ষামন্ত্রীর মূল বক্তব্যের বিপরীত এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বর্তমান নীতির পরিপন্থী।