সংবাদ ডেস্ক ::  প্রার্থনা ও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব-বড়দিন। সোমবার সকাল থেকে সিলেটসহ দেশের গির্জায় গির্জায় শুরু হয় বড়দিনের উৎসব।

সকাল সাড়ে দশটায় নয়াসড়কস্থ প্রেসবিটারিয়ান চার্চে বিশ্ব শান্তি কামনায় উপসনালয় শেষে সাড়ে ১১টায় কেক কেটে বড়দিন পালন করা হয়। এতে বিভিন্ন দল-মত-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষের উপস্থিতে মুখরিত হয়ে উঠে গীর্জা প্রাঙ্গণ। শুধু ভিন্নধর্মালম্বীই নয়, সিলেটের সকল রাজনৈতিক দলের ব্যাক্তিত্বের অংশগ্রহণে এ যেন সম্প্রীতির মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল।

কেক কাটা অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। তবে, উনার পক্ষ থেকে একটি কেক পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চার্চের সম্পাদক ডিকন নিঝুম সাংমা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সিসিকের ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, মহিলা কাউন্সিলর শাহানারা বেগম, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।

এদিকে, আজ ভোর ৫টায় ক্যারলস গানের (নগর সংগীত) মাধ্যমে সিলেট প্রেসব্রিটারিয়ান চার্চে বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সকাল দশটায় চার্চে আগত সকলের উদ্দেশ্যে ধর্মবাণী শোনান প্রেসবিটারিয়ান চার্চের সম্পাদক ডিকন নিঝুম সাংমা। সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ব শান্তি ও সব ধর্মের মানুষের মঙ্গল কামনায় অনুষ্ঠিত হয় সম্প্রীতি প্রার্থনা। আজ সারাদিন এমন আরো অনেক কর্মসূচীতে পালিত হবে দিনটি।

সিলেট প্রেসব্রিটারিয়ান চার্চের ফাদার ডিকন নিঝুম সাংমা জানান, বড়দিন হলো বড় হওয়ার দিন। বড়দিন উৎসবের জন্য আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি, অন্তরের প্রস্তুতি এবং বাহ্যিক অনেক প্রস্তুত্তি নেয়া হয়েছে। সব ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে উৎসবটি হয়ে উঠবে সার্বজনীন এমনটি আশা করেন তিনি।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বড়দিন উপলক্ষে চার্চগুলোতে থাকছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পোষাকি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশও মোতায়েন রয়েছে। তাছাড়া যেসব এলাকায় চার্চ এবং খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের লোকের অবস্থান রয়েছে সেখানে সার্বক্ষণিক টইল থাকছে। ফলে সবাই আনন্দঘন পরিবেশেই উৎসব উদযাপন করতে পারবেন।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here