সংবাদ রিপোর্ট :: গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান-মিলিয়া বাউল গান আর মুর্শিদি গাইতাম-আগে কি সুন্দর দিনকাটাইতাম অথবা মেলাই যায়রে…দিন বদলের পালাক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে সেই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের ধারক বাহক গ্রাম্য মেলা। গরম গরম জিলিপি আর পাঁপড় ভাজা ছাড়া মেলা জমে না। মেলাকে ঘিরে জিলিপি, জিভেগজা থেকে রকমারি মিষ্টির দোকানে তাই উপচে ভিড়। বাদ যায়নি মোমো, চাউমিনের দোকানও। শুধু তাই নয় রয়েছে কচিকাঁচাদের জন্য রকমারি খেলনা। মেয়েদের সাজের সামগ্রী, কাঁচের চুড়ি থেকে হাতা খুন্তি সমস্ত কিছুরই পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।

চক্রাকারে দোল খাওয়ার দোলনার নাম নাগরদোলা। এটি গ্রামের মেলাগুলোতেই বেশি দেখা যায়।
বাংলা নববর্ষ, চৈত্রসংক্রান্তিসহ সর্বজনীন উৎসবগুলোতে নাগরদোলার আসর বসে। পার্কগুলোতে বিভিন্ন রাইডের পাশাপাশি রয়েছে আধুনিক মানের নাগরদোলা।

নাগরদোলায় দোলনার মতো বেশ কিছু আসন থাকে। আরোহীরা বসার পর এটি ঘোরানো হয়। মেলায় আসা শিশুদের কাছে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম এটি। ছোটদের সঙ্গে বড়দেরও অনেক সময় নাগরদোলায় চড়তে দেখা যায়।

নাগরদোলা শক্ত কাঠ বা লোহার পাত দিয়ে বানানো হয়। শক্ত খুঁটির সঙ্গে কয়েকটি ডানা যুক্ত থাকে। প্রতিটি ডানার মাথায় আসন বসানো হয়।
সেগুলো যাতে ঠিকঠাক ঘুরতে পারে, তার জন্য বিয়ারিং যুক্ত করা হয়। আসনগুলোতে হাতল থাকে, যাতে আরোহীরা পড়ে না যায়। দৃষ্টি কাড়তে নাগরদোলাকে নানা রঙে সাজানো হয়।

মেলায় আরো বিশেষ আকষণ থাকে যাত্রা-পালাগান-লাঠি খেলা-পুতুল খেলা এবং মেলার অন্যতম আর্কষণ হচ্ছে নাগরদোলা।
কিন্তুু দিন বদলের পালাক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম্য মেলারও গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যর ধারক-বাহক মেলার সেই বিশেষ আর্কষণ নাগরদোলা। একটা সময় ছিল মেলার বড় আর্কষণ ছিল নাগরদোলায় চড়া। শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ মেলায় গিয়ে মেলায় বিভিন্ন প্রদর্শনী সহ নাগরদোলা চড়াটা কেউ মিস করতো না। দিন যায় কিন্তু রেখে যায় সোনালী অতীত অর্থাৎ নাগরদোলা সেই কট কট শব্দ যেনো আজও মনে গহিনে লুকিয়ে আছে স্বর্ণ জড়া অতীত হয়ে।
কালের পালাক্রমে নতুন নতুন বিনোদন মাধ্যম মানুষ তৈরি করছে ঠিকই কিন্তু গ্রাম্য মেলার সেই স্বাদ, সেই আনন্দ যেন কোনো কিছুতেই পূরণ হয় না…..তাই মানুষ এখনো মনে মনে অথবা কখনো নিজ মনে গেয়ে ওঠেন আগে কি সুন্দর দিনকাটাইতাম।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here