সংবাদ ডেস্ক ::  ষোড়শ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৮ শুরু হচ্ছে আগামী বছরের ১২ জানুয়ারি থেকে। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’- স্লোগানকে ধারণ করে ৯ দিনব্যাপী এ উৎসব ৬০টি দেশের দুই শতাধিক ছবি প্রদর্শিত হবে। এ চলচ্চিত্র উৎসব চলবে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। আয়োজন করছে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ।

আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। এতে উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল, রবিউল হুসাইন, নাট্যব্যক্তিত্ব ম হামিদ, উৎসবের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর রুহুল রবিন খানসহ আরও অনেকে বক্তৃতা করেন।
উৎসবের অগ্রগতি ও পরিকল্পনা সম্পর্কে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল জানান, ষষ্ঠদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, সিনেমা অফ দ্য ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন্স ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম সেশনে বাংলাদেশসহ ৬০টি দেশের দুই শতাধিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
তিনি জানান, রাজধানীর কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল ও প্রধান মিলনায়তন, অঁলিয়স ফ্রঁসেজ মিলনায়তন, রাশিয়ান কালচার সেন্টার ও স্টার সিনেপ্লেক্সে উৎসবের চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে।
রবিন খান জানান, উৎসবের অংশ হিসেবে চলচ্চিত্রে নারীর ভূমিকা বিষয়ক ‘চতুর্থ ঢাকা আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস্ কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বছরের ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি এ কনফারেন্সটি হবে অঁলিয়স ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে। এছাড়া উৎসবের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো আগামী ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ক্রিটিকস্ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএফসিএবি) আয়োজনে এবং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সমালোচক ফেডারেশনের সহযোগিতায় ‘প্রথম এশিয়ানফিল্ম ক্রিটিকস্ অ্যাসেম্বোলি’ (এএফসিএ) অনুষ্ঠিত হবে।
মুজতবা জামাল বলেন, যে সব দেশের চলচ্চিত্র এবারের উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, চীন, ফিলিপাইন, ইতালি, ইয়েমেন, ইরান, গ্রিস, আফগানিস্তান, কাজাকস্তান, ফ্রান্স, লেবানন, তুর্কি, সিরিয়া, কাতার, মঙ্গোলিয়া, স্পেন, আর্জিন্টিনা, বেলজিয়াম, নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, রাশিয়া, চেক রিপাবলিক, আমেরিকা ও জর্ডান।
তিনি বলেন, উৎসবে বাংলাদেশের দশটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রসহ মোট ২০টির বেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। আমরা আশা করছি এই উৎসবে ৬০টির বেশি দেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রকার, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র সমালোচক, বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের দূতাবাস সমূহের গণ্যমান্য কর্মকর্তা, রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ এবং অন্যান্য চলচ্চিত্র সংসদের সদস্যসহ দেশের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিয়মিত উৎসবে অংশ নিবেন।
তরুণ প্রজন্মকে চলচ্চিত্র ও সুস্থধারার বিনোদনমুখী করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে উৎসব পরিচালক বলেন, জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তন ও পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে প্রতিদিন সকাল ১০টা, দুপুর ১টা ও বিকাল ৩টার প্রদর্শনীতে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে চলচ্চিত্রগুলো দেখতে পারবে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
অনেক স্কুল-কলেজের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যারা উৎসবে অংশ নিতে আগ্রহী তাদের উৎসব কমিটির সাথে যোগাযোগের আহ্বান জানান। পাবলিক লাইব্রেরির সকালের প্রদর্শনীগুলোতে সুবিধা বঞ্চিত ও বিশেষায়িত শিশুদের বিনামূল্যে চলচ্চিত্র দেখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
রবিন খান জানান, চলচ্চিত্রের যাবতীয় তথ্য সমৃদ্ধ স্মরণিকা প্রকাশের পাশাপাশি উৎসব চলাকালীন প্রতিদিনকার সংবাদসহ একটি বুলেটিন প্রকাশ করা হবে। একটি আকর্ষণীয় পোস্টার ও স্মরণিকা প্রকাশিত হচ্ছে। এছাড়াও, মিট দ্য প্রেস-এ চলচ্চিত্রকার, প্রযোজক, অভিনয় শিল্পীসহ দেশি-বিদেশি ডেলিগেট সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন বলেও তিনি জানান।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here