স্পোর্টস ডেস্ক :: শারজাহ গিয়েই পাখতুনসকে জিতিয়েছেন তামিম ইকবাল আগের রাতে। দারুণ ফিফটিতে প্রথম টি-টেন আসরের প্লে-অফে তুলে দিয়েছেন দলকে। রোববার তিনি মাত্র ৮ রান করেই আউট। সেই ম্যাচ হলো দারুণ রোমাঞ্চকর। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নখ কামড়ানো এক ম্যাচ হলো পাখতুনস ও বেঙ্গল টাইগার্সের মধ্যে। শেষ বলে জয় তুলে নিয়ে সেমি-ফাইনালে উঠে গেলো শহিদ আফ্রিদি-তামিমের পাখতুনস। ৬ উইকেটের এই জয়ে আহমেদ শেহজাদ, আফ্রিদি, ফখর জামানের দারুণ ভূমিকা। ফিনিশিং দিয়েছেন লিয়াম ডসন।
.
অল রাউন্ড পারফরম্যান্সে এই ডসনই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। চোখ রাখা যাক ম্যাচটির শেষ ওভারে। জহির খানের ওই ওভারে জিততে ১৭ রান দরকার পাখতুনসের। ২ উইকেটে ১২৬ রান তুলে বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল দলটি। কিন্তু শেষ ওভারের প্রথম দুই বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচটা মুহূর্তে নিজেদের নাগালে নিয়ে আসেন ডসন। পরের দুই বলে ৩। শেষ দুই বলে ১ রান করে নিয়ে শেষ হাসি পাখতুনসের। কাটায় কাটায় ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ১২৭ রান। ডসন ৫ বলে ১৬ রানে অপরাজিত। তার আগে এক ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়েছিলেন।
পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের দল বেঙ্গল শক্তিশালী দারুণ। সেই তাদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ১০ বলে ৮ রান করে তামিমের বিদায়। অন্য ওপেনার শেহজাদ ১৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৩৮। অধিনায়ক আফ্রিদি তিন নম্বরে নেমে ১০ বলে ২৩ রান দিয়ে গেছেন। তখনো পথ বাকি। ফখর ১১ বলে ৩১ রান তুলে ম্যাচেই রেখেছিলেন দলকে। ডোয়াইন স্মিথ ৯ বলে শেষে অপরাজিত। ডসন তো শেষ করেছেন খেলা।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গল টাইগার্স ম্যাচ জেতার মতোই পুঁজি পেয়েছিল। ক্যামেরন ডেলপোর্ট ৯ করে আউট। বিপিএলের নক আউট পর্বে বাংলাদেশ কাঁপিয়ে যাওয়া ওপেনার জনসন চার্লস ১২ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ২৮ রান করেছেন। এরপর ব্রাভো ১৪ বলে অপরাজিত ১৯ রানে একপ্রান্ত থেকে সহায়তা দিয়েছেন পার্টনার ডেভিড ‘কিলার’ মিলারকে। খুনে মেজাজেই ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মিলান। ২৬ বলে ৭ ছক্কা ও ৩ চারে হার না মানা ৬৮ রান তুলে ফিরেছিলেন। মনে হয়েছিল জয়ের রাস্তাটা পরিষ্কার। কিন্তু টুর্নামেন্ট ফেভারিট পাখতুনস রোমাঞ্চ জাগিয়ে হারিয়েছে মিলারদের।