সংবাদ ডেস্ক :: নতুন পিয়াজ বাজারে আসার আগে দামে সুখবর দিতে পারছেন না ক্রেতারা। এখনো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পিয়াজ। বাজারে দেশি পিয়াজের কেজি এখন ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। আমদানি করা পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। গতকাল পিয়াজের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে আগের বাড়তি দামেই তা বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে দোকান ভেদে ভিন্ন ভিন্ন দাম নিতে দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক দিনে খারাপ আবহাওয়ার কারণে নতুন পিয়াজ তুলতে বিলম্ব হচ্ছে। বাজারে নতুন পিয়াজের প্রভাব পড়তে আরো অন্তত সাত থেকে ১০ দিন লাগবে। এছাড়া ভারতের বাজারে পিয়াজের দাম বেশি হওয়ায় দেশের বাজারে নতুন পিয়াজ আসলেও দামে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। গতকাল পিয়াজের পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশি পিয়াজের মজুত খুব একটা নেই। যে কয়েকটি দোকানে দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে এর দাম বেশি। অন্যদিকে ভারতীয় আমদানি (এলসি) করা পিয়াজের দামও বেড়ে চলছে। গতকাল শ্যামবাজারে প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ (পুরাতন) বিক্রি হয়েছে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা এবং দেশি পিয়াজ (নতুন) বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে। রাজধানী ও আশেপাশের বিভিন্ন বাজারে সে পিয়াজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। শ্যামবাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৭-৭২ টাকা। বাজারের একাধিক দোকান ঘুরে দেখা গেছে আমদানি করা পিয়াজের ক্রেতাই বেশি। দেশি পিয়াজে ক্রেতাদের আগ্রহ নেই বললেই চলে। শ্যামবাজারের মেসার্স স্বাধীন বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী শ্রী গণেশ বলেন, পিয়াজের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পিয়াজের বাজার কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। আমানত ভাণ্ডারের প্রবীর রায় বলেন, তার দোকানে আমদানি করা পিয়াজ ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি মনে করেন, ভারতে পিয়াজের দাম বাড়ার ফলে দেশের বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। আলী ট্রেডিংয়ের রায়হান বলেন, রোদ বাড়লে ৪/৫ দিনের মধ্যে পিয়াজের দাম কিছুটা কমবে। বৃষ্টির কারণে কৃষকরা নতুন পিয়াজ তুলতে পারছেন না। কৃষকরা জানিয়েছেন তাদের ক্ষেতের ব্যাপক পরিমাণ ক্ষতির কারণে পিয়াজ তুলতে দেরি হচ্ছে। কবে নাগাদ পিয়াজ তুলতে পারবেন তাও বলতে পারছেন না তারা। এদিকে শ্যামবাজারের পিয়াজ কাওরান বাজার আসতেই কেজিতে দাম বেড়ে যায় ২০ থেকে ২৫ টাকা। এ বাজারের বিক্রেতাদের দাবি দেশি পিয়াজ বাজারে মজুত না থাকায় তাদের অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে। এ জন্য বিক্রিও করতে হচ্ছে চড়া মূল্যে। তবে এলসি পিয়াজ শ্যামবাজারের মতো দামেই বিক্রি হচ্ছে কাওরান বাজারে। শ্যামবাজারের রাজ ট্রেডিং, আল্লারদান ভাণ্ডার, লাকী বাণিজ্যালয়, দয়াল ভাণ্ডারসহ আরো অনেক দোকানেই দেশি পিয়াজ বিক্রি করছেন না। এসব দোকানে দেশি পিয়াজ বিক্রি না করার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের অধিকাংশ ক্রেতারাই এখন ভারতীয় এলসি পেয়াজেই ঝুঁকছেন। তারা দেশি পিয়াজ কিনে লোকসান গুনতে চান না।
… [Trackback]
[…] There you can find 4712 additional Information on that Topic: dailyshongbad.com/2017/12/13/পিয়াজে-সুখবর-নেই/ […]
… [Trackback]
[…] Here you can find 71441 additional Info to that Topic: dailyshongbad.com/2017/12/13/পিয়াজে-সুখবর-নেই/ […]