সংবাদ ডেস্ক :: বাংলাদেশ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আসিয়ান জোটভুক্ত দেশ কম্বোডিয়ার সঙ্গে ১০টি সমঝোতা স্মারক এবং একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
বাণিজ্য-বিনিয়োগ, পর্যটন ও তথ্য-প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে এই স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
আজ সকালে নমপেনে কম্বোডিয়ার প্রথানমন্ত্রী হুন সেনের কার্যালয় পিস প্যালেসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের উপস্থিতিতে দুই দেশের প্রতিনিধিরা এসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের এবং হুন সেন কম্বোডিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতার আগে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্তে এবং দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের পর শেখ হাসিনা ও হুন সেন যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা, জয়েন্ট ট্রেড কাউন্সিলের অধীনে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সহযোগিতা, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এবং রয়্যাল একাডেমি অব কম্বোডিয়ার মধ্যে একাডেমিক পর্যায়ে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়া।
বাকি সমঝোতা স্মারকগুলো হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্মৃতিস্তম্ভ এবং স্মৃতি চিহ্ন সংরক্ষণে সহযোগিতা, মৎস্য ও অ্যাকুয়াকালচার খাতে সহযোগিতা, শ্রম ও কারিগরি প্রশিক্ষণ খাতে সরকারি পর্যায়ে সহযোগিতা এবং বিনিয়োগ প্রসারে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও কাউন্সিল ফর দি ডেভেলপমেন্ট অব কম্বোডিয়ার মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে।
আর চুক্তিটি হয়েছে দুই দেশে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি এবং কম্বোডিয়া চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে।
যৌথ বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিনিয়োগ বাড়াতে জয়েন্ট ট্রেড কাউন্সিল গঠনের বিষয়ে যে সমঝোতা স্মারক আজ হয়েছে এবং দুই দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠনের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, তা আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।’
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়টিও বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে বলে জানান তিনি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সম্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুল হাসান খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরূপ চৌধুরী, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম এবং বিআইডিএ’র নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষে স্মারক ও চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ কম্বোডিয়ার পক্ষে স্মারক ও চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here