সংবাদ ডেস্ক :: রাজধানীসহ সারাদেশে গ্রাহকদেরকে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রিপেইড মিটার দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এর মধ্যে আগামী বছরের (২০১৮ সাল) মধ্যে প্রিপেইড মিটার গ্রাহক ৬৩ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী জুন মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ১০ লাখ ৬০ হাজার, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ৩১ লাখ, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ১০ লাখ, ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ৫ লাখ, পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ওজোপাডিকো) ৫ লাখ, উত্তরাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (নওজোপাডিকো) ৬ লাখ প্রি-পেইড মিটার লাগাবে। ইতিমধ্যে যে ৫ লক্ষাধিক লাগানো হয়েছে এগুলো তার বাইরে।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, আগামী বছর দেশব্যাপী ৬৩ লাখ প্রিপেইড মিটার বসানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে। প্রিপ্রেইড গ্রাহকরা নিকটবর্তী ভেন্ডিং স্টেশন থেকে তাদের প্রিপেইড কার্ড রিচার্জ কারতে পারবেন। তারা স্টেশন থেকে তাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ ও অবশিষ্ট ব্যালেন্স জানতে পারবেন।
কথা হয় রাজধানীর মীরপুর এলাকার গ্রাহক নিরব সঙ্গে। তিনি দেশে প্রিপেইড মিটার ব্যবস্থা চালুর প্রশংসা করে বলেন, ‘এই ব্যবস্থা গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রিপেইড মিটার সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াবে। পাশাপাশি গ্রাহক সেবার মানের উন্নয়ন ঘটবে। আমাদের মূল লক্ষ্য হবে গ্রাহক সেবার উন্নয়ন।’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘সরকার ২০২১ সাল নাগাদ গোটা বিদ্যুৎ খাতকে প্রিপেইড মিটারিং ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসবে। এর ফলে বিদ্যুৎ সম্পদের ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। বিদ্যুতের ব্যবহার ও বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আমরা রেগুলার বিলিং মিটার সিস্টেমের বিপরীতে দেশে প্রিপেইড মিটার চালুর পরিকল্পনা নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বর্তমান বিলিং সিস্টেম থেকে গ্রাহকদের মুক্তি দিতে ব্যাপক সহায়ক হবে।’