স্পোর্টস ডেস্ক :: বিপিএলের পঞ্চম আসরের তৃতীয় পর্ব চট্রগ্রামে শুরু হচ্ছে শুক্রবার। শিরোপার দৌঁড়ে টিকে থাকার জন্য শীর্ষ চারে অবস্থানের লড়াই এই পর্বেই প্রকট হবে। দিন যত গড়াচ্ছে ততই উত্তেজনার পারদ বেড়েই চলছে । ঢাকাতে শেষ কয়েকটি ম্যাচ নখ কামড়ানো উত্তেজনা উপহার দিয়েছে দর্শকদের। আশা করা যায় এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাবে চট্টগ্রামেও। ২৪ থেকে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে ১০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই পর্বে। প্রতিটি ম্যাচের ভেন্যু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়াম। শুক্রবার দুপুর ২টায় খুলনা টাইটান্স ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের খেলা। সন্ধ্যা ৭টায় দিনের দ্বিতীয় খেলায় মুখোমুখি হবে চিটাগং ভাইকিংস ও সিলেট সিক্সার্স।
.
দুই পর্বের খেলা শেষে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে আছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে এই স্থানটি নিয়ে একরকম মিউজিক্যাল চেয়ার খেলাই হয়েছে। সিলেট পর্ব শেষে শীর্ষদল ছিল সিলেট সিক্সার্স। ঢাকা পর্বে কিছুদিন ঢাকা ডায়নামাইটস এই স্থানটি দখল করে রেখেছিল। সিলেটের কাছে হেরে বিপিএল শুরু করা কুমিল্লা টানা ৫ ম্যাচ জিতে এখন শীর্ষে। ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট তাদের। ইনজুরি থেকে ফিরেছেন দলটির নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে শক্তিশালী দল ঢাকার। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে দলটি ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করলেও শেষ দুই ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে চলে গেছে। ৮ ম্যাচে ৪ জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দলটি। তবে সবচেয়ে নিভৃতে পারফর্ম করে চলছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা। ৭ ম্যাচে ২ হারে ঢাকার সমান ৯ পয়েন্ট তাদের। নাসির হোসেনের নেতৃত্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে বিপিএল শুরু করা সিলেট আর কোন জয় পায়নি। ৮ ম্যাচে ৪ হারে ৭ পয়েন্ট তাদের। পয়েন্ট তালিকার ৪ নম্বর দল সিলেট।

শুরুতে কিছু ম্যাচ হেরে বিপদেই ছিল রংপুর। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে শেষ দুই ম্যাচ জেতা দলটির সামনে রয়েছে শীর্ষ চারে যাওয়ার সুযোগ। ৬ ম্যাচে সমান ৩টি করে জয় ও হারে তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট।
তালিকায় তলানীর দুই দল রাজশাহী কিংস ও চিটাগং ভাইকিংস। ড্যারেন স্যামির নেতৃত্বে রাজশাহীর সাফল্যের হার খুবই খারাপ। ৭ ম্যাচের পাঁচটিই হেরেছে তারা। তবে গেল বিপিএলে এমন অবস্থা থেকে উঠে এসে দলটি ফাইনালে খেলেছিল। ছয় ম্যাচে মাত্র এক জয় পাওয়া চিটাগং ঘরের মাঠে ভাল কিছু করে নিজেদের জন্য আশা জাগিয়ে রাখতে পারে।
বিদেশি খেলোয়াড়দের চাপে দেশিদের ভাল পারফরম্যান্সের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বেশ আলোচিত এবারের বিপিএল। তবে যেসব স্থানীয় খেলোয়াড় সুযোগ পেয়েছেন তারা বেশ ভালোভাবেই নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। বোলারদের মধ্যে ৬ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন খুলনার পেসার আবু জায়েদ রাহী। তিনি সহ মোট ৬জন স্থানীয় বোলার আছেন শীর্ষ দশের মধ্যে।
ব্যাটসম্যানদের তালিকায় অবশ্য শীর্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান ইভিন লুইস। ৭ ম্যাচে ২৩৯ রান ঢাকার এই ব্যাটসম্যানের। ৬ ম্যাচে ২০১ রান নিয়ে তালিকার চার নম্বরে আছেন কুমিল্লার ইমরুল কায়েস। ব্যাটিং সামর্থ্যে পিছিয়ে আছেন স্থানীয়রা।এই তালিকার শীর্ষ দশে চারজন বাংলাদেশি।
এবারে আসরে কোন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেননি এখন পর্যন্ত। সর্বোচ্চ ৭৮ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস চিটাগংয়ের লুক রনকির। একবার করে ৫ উইকেট নিয়েছেন সাকিব ও কুমিল্লার পাকিস্তানি রিক্রুট হাসান আলি। সাকিবের ১৬ রান ৫ উইকেট এখনো এই আসরের সেরা বোলিং।

4 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here