সংবাদ ডেস্ক :: বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ কোনো না কোনো ব্যথার অসুখে ভুগছে। এদের মধ্যে অনেকেই আবার কোনো চিকিৎসকের কাছে না গিয়েই পাড়ার বা বাজারের ওষুধের দোকান থেকে নিজেই ওষুধ কিনে খাচ্ছেন।
ওষুধের দোকান থেকে চাইলে যে কেউ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ কিনতে পারেন। এসব দোকান থেকে অনেক সময় ব্যথার যে ওষুধ দেওয়া হয়, তা সাধারণত গরু মোটা-তাজা করার কাজে ব্যবহার করা হয়। এ ওষুধের মধ্যে ক্ষতিকর স্টেরয়েড (steroid) জাতীয় ওষুধও রয়েছে।এসব ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করে মানুষ কিডনি রোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছে।
গ্রিনরোড, ধানমণ্ডি ৭নং রোডের ঢাকা পেইন ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের এমডি অধ্যাপক ডা. আখতারুজ্জামান।
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউরো এনেস্থেশিয়ালজি অ্যান্ড পেইন মেডিসিন বিভাগেরও অধ্যাপক। কথা প্রসঙ্গে তিনি দু’ধরনের ব্যথানাশক ওষুধের কথা বলেন। এদের একটি স্টেরয়েড জাতীয় এবং অন্যটি নন-স্টেরয়েড। এই দুই ধরনের ব্যথানাশকই মানুষ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই সচরাচর ব্যবহার করে থাকে। এর ফলে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।
এ দুটি ওষুধের একটি হচ্ছে, প্রেডনিসোলেন(prednisolone)। এটি সেবন করলে হাড়ের ক্ষয় তরান্বিত হয়, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে।
অপর ওষুধটি হচ্ছে, ডাইক্লোফেবাক (diclofebac) বা করটোল্যাক (kotorolac) জাতীয় নন-স্টেরয়েড ওষুধ। না বুঝে এটি সেবন করলে কিডনি নষ্ট বা বিকল হয়ে যেতে পারে, পেট ফুলে যেতে বা ফেঁপে যেতে পারে।
অধ্যাপক ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে বেশিরভাগ রোগীই প্রথম ডাক্তারের কাছে আসেন ব্যথা নিয়ে। এ ব্যথার অসুখ বাংলাদেশে মহামারী আকার ধারণ করেছে। শহরের চেয়ে গ্রামে এবং পরুষের চেয়ে নারীরা এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। তবে কোনো প্রকার অপারেশন ছাড়াই সঠিক চিকিৎসা নিলে সহজেই নিরাময় সম্ভব।
তিনি জানান, অন্যদেশের সঙ্গে ব্যথার অসুখে বাংলাদেশের ব্যাপক তফাত দেখা যায়। বাংলাদেশের মানুষ ব্যথার অসুখে ভোগেন অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম করার কারণে। আর উন্নত দেশের মানুষ ভোগে ওভার ওয়েট বা বেশি ওজনের (ওবেসি হওয়ার) কারণে।
তবে বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হল
… [Trackback]
[…] Read More Info here to that Topic: dailyshongbad.com/2017/11/22/গরু-মোটাতাজা-করার-ওষুধ-খা/ […]