সংবাদ ডেস্ক :: মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন করে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে নূন্যতম ১৩ বছর হতে হবে শর্ত দিয়ে জারি করা গেজেটের বৈধতা বিষয়ে কারণ দর্শাতে আজ রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়। গত বছরের ১০ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এ গেজেট জারি করে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালকসহ আটজনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল করিম ও ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। রিট আবেদনটি দায়ের করেন উপ-হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (পদ্ধতি) সহিদুল ইসলাম।
গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত উপ-মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (প্রশাসন) থেকে সহিদুল ইসলামকে দেয়া এক চিঠিতে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা দাবির স্বপক্ষে কাগজপত্রের সত্যতা না পাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনাকে প্রত্যয়ন করা যায়নি। এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পরে হাইকোর্টে রিট করেন সহিদুল ইসলাম। আবেদনে বলা হয়, ভারতীয় তালিকায় এবং লাল মুক্তি বার্তায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম রয়েছে। ১৯৮১ সালের ২৩ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অডিটর পদে চাকরিতে নিয়োগও দেয়া হয় তাকে।
গত বছরের ১০ নভেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ’ করে গেজেট জারি করে সরকার। ওই গেজেটে বলা হয়, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে রয়স ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে।’ সহিদুল ইসলাম তার রিটে এ গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি সম্পূরক আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ১৩ বছর না হওয়ার কারণে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করছে না অডিটর অফিস।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here