সংবাদ ডেস্ক ::জাতিসংঘের সামাজিক, মানবিক ও মানবাধিকার বিষয়ক এজেন্ডা নির্ধারণী কমিটিতে রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি রেজ্যুলেশন (প্রস্তাব) গৃহীত হয়েছে।

এর পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৩৫টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে চীন ও রাশিয়াসহ ১০টি দেশ। ভারতসহ ২৬টি দেশ কোনো পক্ষেই ভোট দেয়নি। এছাড়া অনুপস্থিত ছিল ২২টি দেশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) নিউইর্য়ক সময় সকালে ভোটাভুটির পর রেজ্যুলেশনটি গৃহীত হয়।

গত ৩১ অক্টোবর থার্ড কমিটিতে ‘মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শিরোনামে মিশর এই খসড়া রেজ্যুলেশন জমা দেয়। এর কোস্পন্সর ছিল ৯৭টি দেশ।

রেজ্যুলেশনে বলা হয়েছে, রাখাইনে সামরিক অভিযানের কারণে নিয়মতান্ত্রিকভাবে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এই অভিযান বন্ধ করাসহ রোহিঙ্গা নিধনের জন্য দোষীদের বিচারের আওতায় আনতেও মিয়ানমার সরকারকে বলা হয়। এছাড়া বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে রাখাইনে ফেরত যেতে পারে, রাখাইনে যেন জাতিসংঘসহ অন্যান্য সাহায্য সংস্থা কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে রেজ্যুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে।

রেজ্যুলেশনে জাতিসংঘের মহাসচিবকে ‘মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত’ নিয়োগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ যেন মিয়ানমারকে সহায়তার প্রস্তাব করে।

এই রেজ্যুলেশনের বিষয়ে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ যা চায়, তার প্রতিফলন ঘটেছে এতে।

গত ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর জাতিগত নিধন অভিযান শুরু হলে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। বাংলাদেশ সরকার মানবিক বিবেচনায় তাদেরকে আশ্রয় দেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here