সংবাদ ডেস্ক :: পটুয়াখালীতে পৌনে ২ হাজার কোটি টাকায় শেখ হাসিনা নামে নতুন সেনানিবাস নির্মাণসহ ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পে ৩ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। একনেকের সভায় পর্যালোচনা শেষে প্রকল্পগুলো অনুমোদন দিয়ে এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেরে বাংলা নগরে একনেক বৈঠকে সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনা শেষে ঝিনাইদহ টেক্সটাইল কলেজ প্রকল্পে তৃতীয়বারের সংশোধনীতে ৫০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ১২০ কোটি টাকা অনুমোদন হয়। বাকি ৯টি নতুন প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বড় শেখ হাসিনা সেনানিবাস নির্মাণ।
সেনানিবাস
সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলকে জাতীয় প্রতিরক্ষা বলয়ে সন্নিহিত করতে বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার মধ্যবর্তী স্থানে শেখ হাসিনা নামে নির্মাণ করা হবে দক্ষিণাঞ্চলের সেনানিবাস।
পৌনে ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পটুয়াখালীর পায়রা নদীর তীরে দেড় হাজার একর জমিতে ২০২১ সালের মধ্যে গোড়ে উঠবে নতুন এ সেনানিবাস।
স্বাধীনতার পর থেকে যশোর সেনানিবাসে অবস্থিত ৫৫ পদাতিক ডিভিশনকে এ অঞ্চলের ২১টি জেলার প্রতিরক্ষা, দুর্যোগ মোকাবেলা এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার দায়িত্ব পালন করতে হয়। বরিশাল বা পটুয়াখালীতে কোন সেনানিবাস না থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের দুর্যোগ মোকাবেলা ও সামরিক নিরাপত্তার প্রশ্নে কম-বেশি ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত যশোর সেনানিবাসের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। যশোর সেনানিবাসের ওপর চাপ কমানোর পাশাপাশি দেশব্যাপী সামরিক শক্তির সুষম বলয় এবং সমুদ্র উপকূল এলাকায় দুর্যোগ মোকাবেলায় সামর্থ বাড়াবে এ সেনানিবাস।
প্রস্তাবিত সেনানিবাসটি স্থাপনে ২০১৪ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দেন। নির্ধারিত স্থানটি ১৯৭৫ সাল পরবর্তী সময়ে জেগে উঠা চর হওয়ায় সেখানে উল্লেখযোগ্য কোনো বসতি গড়ে উঠেনি। ফলে জমি অধিগ্রহণে বাড়িঘর কিংবা কোনো স্থাপনার জন্য ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন করতে হবে না।
সেনানিবাস ছাড়া নতুন ৮ প্রকল্প
মোংলা বন্দরের আউটার চ্যানেল ২০২০ সাল পর্যন্ত ড্রেজিং ৭১২ কোটি টাকা, মাগুরার শালিখা ঝিনাইদহ মহাসড়ক প্রশস্তকরণে শত কোটি টাকা, বরিশাল-দুমকি রোডে রাঙামাটি নদীতে ৫৭ কোটি টাকায় সেতু, খুলনা ও যশোরে ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়নে সোয়াশো কোটি, বগুড়া-দিনাজপুরে ৮৯ কোটি, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে দ্বিতীয় সঞ্চালন লাইন স্থাপনে ১৮৯ কোটি, জাতীয় চিত্রশালা, সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ সমাপ্তে ১৩৭ কোটি, ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্সটিটিউট নির্মাণে ৯০ কোটি টাকা অনুমোদন হয় একনেকে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী প্রকল্পগুলোর সারসংক্ষেপ ও প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে জানান, এবারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.২৮ এবং মাথাপিছু আয় ১৬১০ মার্কিন ডলার হয়েছে।