সংবাদ ডেস্ক ::সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) অব্যবহৃত ৩টি গাড়ি চুরির বর্ণনা দিলেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
শনিবার (১১ নভেম্বর) নগর ভবনে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আরিফুল হক বলেন, তিনটি গাড়ি চুরি অনেক বড় ঘটনা। মূলত গাড়িগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় রাখা ছিল ডাম্পিংয়ে।
সরকারিভাবে গাড়িগুলো কনডেম ঘোষণার জন্য ২০০৯ সাল থেকে প্রক্রিয়া চলছে। এ জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটিও হয়। ওই কমিটির সদস্যরা ও বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) মিলে গাড়ি তিনটির মূল্য নির্ধারণ করে।
গাড়ি ৩টির মধ্যে একটি পিকআপ (সিলেট-ঘ-০২-০৪৮), অ্যাম্বুলেন্স সিলেট-ব-৬১৬৮ ও একটি মিনি ট্রাক সিলেট-ট-৫৪১০।
এরমধ্যে ২০০৬ সাল থেকে বিকল ছিল সিলেট-ঘ-০২-০৪৮ নাম্বার পিকআপটি। গাড়ির স্ক্র্যাবের মূল্য ৮ হাজার টাকা ধরে কমিটি মতামত দেয়, ব্যবহার উপযোগী করতে মেরামতে ৫২ গুণ বেশি তথা খরচ হবে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। মেরামত পরবর্তী আনুমানিক মূল্য ধরা হয় ৩ লাখ।
অ্যাম্বুলেন্স সিলেট-ব-৬১৬৮ বর্তমান স্ক্রাবের মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। মেরামতে ৩২ গুণ বেশি খরচ হবে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। যার পরবর্তী মূল্য দাঁড়াবে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এছাড়া মিনি ট্রাকের (সিলেট-ট-৫৪১০) স্ক্রাবের মূল্য ধরা হয় ২০ হাজার টাকা। গাড়িটি ব্যবহার উপযোগী করতে প্রায় ৩৫ গুণ তথা ৭ লাখ টাকা খরচ হবে। মেরামত পরবর্তীতে মূল দাঁড়াবে ৪ লাখ ৮০ হাজার।
তারপরও স্ক্র্যাবগুলো চুরির ঘটনা জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট শাখায় কর্মরতদের দিয়ে কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরির কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এ ঘটনায় সিসিকের ৩ জন কর্মকর্তাকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্তে যাদের জড়িত পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হলেন-সিলেট সিটি করপোরেশনের সচিব বদরুল হক, সদস্য সচিব নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ), বর্তমানে করপোরেশনের যান্ত্রিক শাখায় কর্মরত রুহুল আলম।