রাখাইনে সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধন অভিযানের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে নাগরিকত্ব দিয়ে মায়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এসব মানুষ রাষ্ট্রহীন থাকতে পারে না। কারণ এই রাষ্ট্রহীনতার কারণে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, অতীতেও হয়েছেন।
ফিলিপো গ্রান্ডি আরো বলেন, যেসব মানুষ মায়ানমারে ফিরে যাবে তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। নাগরিকত্ব দেয়া না হলে তাদের ফিরে যাওয়া স্থায়ী হবে না। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে রাখাইনের উন্নয়নে সরকারকে একমত হতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ফিলিপো গ্রান্ডি জানান, মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘের উদ্বাস্তু সংস্থার সাথে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের জাতিগত পরিচয় দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
‘দিস ইজ আওয়ার হোম, স্টেটলেস মাইনোরিটিস অ্যান্ড দেয়ার সার্চ ফর সিটিজেনশিপ’ শীর্ষক রিপোর্টে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থাটি জানায়, বিশ্বের ৩০ লাখেরও বেশি মানুষের কোনো রাষ্ট্রীয় পরিচয় নেই। তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত।
জাতিসংঘের উদ্বাস্তু সংস্থার আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পরিচালক ক্যারোল ব্যাচেলর বলেন, ‘আপনি এই পৃথিবীতে নাগরিকত্ব ছাড়া বসবাস করা মানে হচ্ছে আপনার কোনো পরিচয় নেই। কোনো নথি নেই। কোনো অধিকার নেই।’
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর উচিত তাদের ভূখণ্ডে জন্ম নেয়াদের নাগরিকত্ব দেয়া। না হলে তারা রাষ্ট্রহীন থাকবে এবং এভাবেই থেকে যাবে।
ব্যাচেলর বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবেই বলতে চাই বিশ্বের ৩০ লাখ মানুষ নাগরিকত্ব পরিচয়হীন। তাদের নাগরিকত্ব দেয়া প্রয়োজন।’
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের নাগরিকত্ব অধিকার থেকে বঞ্চিত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু ফলের দিতে তাকাতে পারি। মিয়ানমারের একটা নাগরিকত্ব আইন আছে। সেই আইন অনুযায়ী রোহিঙ্গারা তালিকায় নেই।’
নাগরিকত্বহীন অন্য গোষ্ঠীদের মধ্যে সিরিয়ার কুর্দ, মাদাগাসকারের কারানা, সাবেক যুগোস্লোভিয়া প্রজাতন্ত্রের রোমা ও কেনিয়ার পেমবাকে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
ব্যাচেলর বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবেই বলতে চাই বিশ্বের ৩০ লাখ মানুষ নাগরিকত্ব পরিচয়হীন। তাদের নাগরিকত্ব দেয়া প্রয়োজন।’
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের নাগরিকত্ব অধিকার থেকে বঞ্চিত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু ফলের দিতে তাকাতে পারি। মিয়ানমারের একটা নাগরিকত্ব আইন আছে। সেই্ আইন অনুযায়ী রোহিঙ্গারা তালিকায় নেই।’
২০১২ সাল থেকে থাইল্যান্ডের প্রায় ৩০ হাজার রাষ্ট্রহীনকে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছে। কেনিয়ার মাকোন্দের প্রায় চার হাজার জনকেও গত বছর নাগরিকত্ব দেয়া হয়।
ব্যাচেলর বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ড, রাশিয়া ও পশ্চিম আফ্রিকার উন্নতি দেখছি। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তার খুবই কম।’