সংবাদ ডেস্ক :

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি বাড়ছে। একই সঙ্গে চলছে এই রোগের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা। কে কার আগে টিকা বাজার ধরবে এনিয়ে চলছে দৌড়ঝাপ।

বিবিসি জানায়, জাতিসংঘের সর্বশেষ ২০ জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে টিকা বানাতে ১৭৩ উদ্যোগ চলছে।

আর ১৪০টি টিকার এখনো মানবদেহে পরীক্ষা শুরু হয়নি। একে বলা হয় প্রিক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। বিজ্ঞানীরা এখনো এসব টিকা নিয়ে গবেষণা করছেন, পশু বা প্রাণীর ওপর প্রয়োগ করে কার্যকারিতা যাচাই করছেন।

এখন পর্যন্ত ১৯টি টিকার কার্যক্রম রয়েছে প্রথম পর্যায়ে অর্থাৎ ক্লিনিক্যাল টেস্টিং শুরু হয়েছে। এর ফলে মানুষের ছোট একটি গ্রুপের ওপর টিকাটি প্রয়োগ করে দেখা হয় যে, এটা নিরাপদ কিনা। সেই সঙ্গে এটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় কতটা প্রভাব ফেলে, তাও যাচাই করা হয়।

আর ১১টি টিকা রয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ে, যেখানে এসব টিকা কতটা নিরাপদ, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এই পর্যায়ে কয়েকশ’ মানুষের ওপর টিকার পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা এর নিরাপত্তা আর সঠিক মাত্রা নিরূপণের চেষ্টা করেন।

এছাড়া বিশ্বে এখন তিনটি টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। এই পর্যায়ে কয়েক হাজার মানুষের ওপর টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হয় যে, সেটা কতটা নিরাপদ, কতটা কার্যকর এবং বড় ধরনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি হয় কিনা।

জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা তৃতীয় কোন দেশে করতে হয়।

এখানে সফলতা পেলেই সাধারণত টিকার অনুমোদন হয়ে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশের ধারণা, মানবদেহে ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে এই বছর পার হয়ে যাবে।

সাধারণত একটি টিকা আবিষ্কারে কয়েক বছর লেগে যায়। কিন্তু করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে কয়েক মাসের মধ্যেই সেটা আবিষ্কার করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।

বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ২০২১ সালের মাঝামাঝি নাগাদ করোনাভাইরাসের টিকা বাজারে আসতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here