সংবাদ ডেস্ক :
সুনামগঞ্জে নতুন করে কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন আরও ৩১০ জন। ৬৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আইসোলেসনে আছেন ২ জন।
জেলায় বর্তমানে সুনামগঞ্জে হোম আছেন এক হাজার ৪৮১। গত ১০ মার্চ থেকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছেন সুনামগঞ্জে এক হাজার ১৪ জন। কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পাওয়া সবাই প্রবাসী, তাদের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজন। তবে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত ১ মার্চ থেকে বিদেশ থেকে জেলায় এসেছেন ২৩৮০ জন। ঠিকানা চিহ্নিত করা হয়েছে ২২৭৩ জনের। এদের মধ্যে ১০৭ জনের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
এদিকে জেলার ২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত রবিবার দোয়ারাবাজারে এক মহিলা করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। উপজেলার চন্ডিপুর এলাকা এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত ওই মহিলার বাড়ি উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে। মহিলার স্বামী গত ৫ মার্চ সৌদি থেকে দেশে ফিরেছিলেন।
অপরদিকে সোমবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ পরীক্ষাগারে সুনামগঞ্জের আরেকজন নারীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। করোনা আক্রান্ত ওই নারীর বয়স ২৫। তার বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায়। করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তার শরীরের নমুনা রোববার ওসমানী মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
গত শুক্রবার সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই নারী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেছেন। ওই নারীর নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তাঁর সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক এবং অন্যদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
করোনা চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ১০০টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও ২০ জন ডাক্তার ও ১৪৩ জন নার্সও রয়েছেন।
এদিকে ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, জগন্নাথপুর, ধর্মপাশা, দিরাই, শাল্লা উপজেলায় ৩টি করে বেড এবং সুনামগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও আনিছা হেলথ কেয়ারে ২টি করে বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য ১৩১ টি বেড রয়েছে। এছাড়াও ৮৬ জন ডাক্তার, ২৪৭ জন নার্স প্রস্তুত রয়েছেন। আক্রান্তদের জরুরী চিকিৎসায় স্থানান্তরের প্রয়োজনে ১০টি এম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে। জরুরী বিভাগে আইসোলেশনের ব্যবস্থাও রয়েছে।