সংবাদ ডেস্ক ::
আগামী অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক ২১তম জাতীয় সম্মেলন। তবে দেশব্যাপী ডেঙ্গু, বিভিন্ন এলাকায় বন্যা এবং সর্বশেষ নীতিগত ভাবে চূড়ান্ত হয়েছে উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ। এসব বিবেচনায় যে আসন্ন ২১তম জাতীয় সম্মেলন সঠিক সময়ে হচ্ছে না তার ইঙ্গিত স্পষ্ট।
দলের শীর্ষ নেতারা বলছেন, নেত্রী এ মাসেই জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে আমেরিকা যাবেন। তারপর এসে ভারত সফর করবেন। এছাড়া স্থানীয় নির্বাচনে উপজেলার বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণ দর্শাও নোটিশ প্রদানের পর কি জবাব আসে, এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী পালিত হবে আগামী বছর। এর প্রস্ততির বিষয়ও রয়েছে। এসব বিবেচনা করেই দলের হাইকমান্ড ইচ্ছুক নয় অক্টোবরে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন করার। কিছু দিন পিছিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত এখন দৃশ্যমান। সেটা কত দিনের তা বলতে দলের নীতিনির্ধারকদের কেউ রাজি হননি প্রতিবেদকের কাছে।
এছাড়া মৌলভীবাজার জেলা বাদে বাকি ৬৩ জেলা, উপজেলার কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এসব মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলন করে নতুন কমিটি গঠনের জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের পর আবারও সাংগঠনিক সফর শুরুর মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান দলের সাধারণ সম্পাদক। তবে এটাও অনেক কিন্তুর মাঝে রয়েছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শীর্ষ নেতা।
গতকাল মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্ব) ধানমন্ডিস্থ দলীয় সভাপতির সম্পাদকমন্ডলীর সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে যেকোনো একটি সময়ে সম্মেলনের আয়োজন করা সম্ভব। দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে আলোচনা হবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত হবে, জাতীয় কাউন্সিল অক্টোবরে না পিছিয়ে যাবে। এই মুহূর্তে বলতে পাচ্ছি না।
তখন সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি পার্টির সাধারণ সম্পাদক, আপনি বলতে পারবেন না জাতীয় কাউন্সিলের ব্যাপারে? এর উত্তরে তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত ভাবে একটি কথা বলা আর দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তের পর দলীয় ভাবে বলা নিশ্চিয়ই এক কথা নয়। এ বিষয়ে আর কোন কথা বলতে চাচ্ছি না। জাতীয় সম্মেলনের পূর্বেই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলন করে নতুন কমিটি দেওয়া হবে।
জাতীয় সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাংগঠনিক সম্পাদক বিডি২৪লাইভকে বলেন, মূলত আমরা বসেছিলাম উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের শোকজের চিঠির বিষয়ে আলোচন করার জন্য। তবে গুরত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের আসন্ন অক্টোবরে ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন নিয়েও আলোচনা যে হয়নি তা বলবো না। তবে অক্টোবরে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন যে হচ্ছে না তা এক প্রকার নিশ্চিত।
সম্মেলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শ্রী পিযূষ কান্তি ভট্টাচার্য বিডি২৪ লাইভকে বলেন, যতটুকু শুনেছি সম্মেলন পিছিয়ে যাচ্ছে। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে, বিশেষ করে বন্য, ডেঙ্গু এবং উপজেলায় প্রার্থীদের শোকজ এসব আর কি। তাছাড়া জেলা, উপজেলার কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি এখনও, তাই পিছিয়ে যাচ্ছে জাতীয় সম্মেলন। খুব বেশি পিছিয়ে যাবে না, এ বছরই অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সম্মেলন।