বিশেষ প্রতিবেদন : সিলেট নগরীর বিভিন্ন সড়কের সংস্কারের ধারাবাহিকতায় চলছে বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়কটির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের কাজ। এ নতুন একটি সেতু সংস্কার কাজের জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ২ মে চালু করা হয় নগরের চৌহাট্টা-বন্দরবাজার সড়ক। অন্যদিকে নগরীকে যানজাট মুক্ত করতে এ সড়ক দিয়ে রিকশা চলাচল বন্ধ ও বহুমুখী চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন মেয়র।
সিসিক মেয়র’র ঘোষণার পরও রিক্সা বন্ধ অথবা উভয়মুখ চালু না হওয়ায় এবং নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় এখনো উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় দিন দিন বাড়ছে যাত্রী দুর্ভোগ।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সিসিক’র বক্তব্য হচ্ছে, এই সড়কের যান চলাচল নিয়ে এখনও কোনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষা চলছে। এসব পরীক্ষ-নিরিক্ষার ফল দেখে বিভিন্ন দিক বিবেচনায় চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায় , এই সড়কে উভয়মুখী চলাছর চালুর পূর্বে সড়ক সম্প্রসারণ করা ও বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো সরানো প্রয়োজন।
সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২ মে’র পর থেকে পর্যবেক্ষণের জন্য মাঝেমাঝে এই সড়কে উভয়মুখী যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। আবার কখনো রিকশা-লেগুনা চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এভাবে পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালানো হচ্ছে।
চৌহাট্টার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, সিসিক’র উন্নয়ন কাজে আমরা সমর্থন করছি তবে উন্নয়ন কাজগুলো যদি আরেকটু দ্রুত গতিতে হতে তাহলে আমাদের সকলের জন্যই তা সহনীয় হতো। কারণ একই সড়কে বারং বার সিজার করা হচ্ছে কখনো ইন্টারনেট, পানির লাইন, গ্যাস অথবা পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করার ফলে সড়কগুলো বেশির ভাগ সময়ই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।আমরা সচেতন নগরীর হিসেবে এটা সিসিকসহ সরকারের কাছে আশা করছি যে কোন উন্নয়নমূলক কাজগুলো যেনো সু-পরিকল্পীত ভাবে হয়। তাহলে সরকার যেমন অর্থ অপচয় থেকে রহায় পাবে তার সাথে দুর্ভোগ কমবে নগরজীবনেও।