সংবাদ রিপোর্ট :সিলেট নগরীর কুমারপাড়া ঝরনারপাড় (সুনাতোলা) সবুজ-৪ নং বাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সন্ত্রাসীদের হামলায় নারী শিশুসহ ৩জন আহত হয়েছেন। তাদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার(৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টারদিকে ৮/১০ জনের সন্ত্রাসীদল প্রায় আধ ঘন্টা তান্ডবলীলা চালায়। বাসার লোকজন নিজেদের ভাড়াটিয়ে পরচয় দিলেও সন্ত্রাসীরা ক্ষান্ত হয়নি। সন্ত্রাসীরা ভাংচুরের চালায় এবং মহিলা ও শিশুদের বেদম মারধর করে। এসময় ৪ বছরের শিশু সুজাতকে গলাচেপে ধরে বাইরে নিক্ষেপ করে সন্ত্রাসীরা। শিশুটি বাইরে কাঁদার মধ্যে গিয়ে পড়লে বড় ধরনের আঘাত থেকে রক্ষা পায়। খবর পেয়ে কতোয়ালী মডেল থানার এসআই বিষনু দেব এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিাবার(৪ জুলাই) বাসার স্বত্বাধিকারী বয়বৃদ্ধ মো. ওসমান মিয়া(৭৪)কে বেদম মারধর করে মবারক হোসনে ফাত্তাহ। এঘটনায় থানায় মামলা দিলে শুক্রবার( ৬ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ ফাত্তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ ফাত্তাকে নিয়ে যেতে না যেতেই সাড়ে ৪টারদিকে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। ফাত্তাহ সবুজ-১ নং বাসার মৃত আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভূমির মালিকানা নিয়ে পাশের ঘরের সাথে মো. ওসমান মিয়াা(৭৪) দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিলো। প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় এর পূর্বেও তিনি ও তার পরিবার আক্রান্ত হয়েছিলেন। বেশ কিছুদিন পূর্বে প্রতিপক্ষ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওসমান মিয়ার ছেলে তায়েফ আহমদ গুরুত্বর আহত হন। এর পর থেকে তিনি জীবনের নিরাপত্তার জন্য নিজের বাসা ভাড়া দিয়ে নিজে ভাড়া বাসায় চলে যান। সেই মামলা এখনো চলছে। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ওসমান আলী তার বাসা দেখতে আসানে। এসময় তাকে একা পেয়ে ফাত্তাহ দলবলসহ তার উপর হামলা চালিয়ে তাকে গুরুত্বর আহত করে। ফাত্তাহ ও তার সহযোগিরা রড় ও দা দিয়ে তার মাথায় আঘাত করতে চাইলে তিনি হাত দিয়ে তা প্রতিহত করেন। এসময় দায়ের কোপে তার হাত কেটে যায়। তিনি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় মামলা হলে শুক্রবার বিকেল ৪টায় পুলিশ ফাত্তাহকে গ্রেফতার করে। ফাত্তাহকে নিয়ে যাওয়ার পরপরই বিকলে সাড়ে ৪টার দিকে ফাত্তার সহযোগি লুৎফুর রহমান লুতু, নিহাল আহমদ, বাবলাসহ ৮/১০ জন ওসমান আলীর ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালায় এবং ভাড়াটিয়াদের মারধর শুরু করে। এসময় ভাড়াটিয়ারা নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাদের মারছে কেন? তাদের মালামাল ভাংচুর করছে কেন? বলতেই মহিলাদেরও মারাধর শুরু করে সন্ত্রাসীরা। এসময় এক হামলাকারী শিশু সুজাত(৪)কে গলায় চেপে ধরে ঘরের বাইরে নিক্ষেপ করে। শিশুটি গিয়ে বাইরে কাঁদার মধ্যে পড়লে গুরুত্ব আঘাত থেকে রক্ষা পায়। প্রায় আধ ঘন্টা তান্ডব চালিয়ে ভাড়াটিয়াদের ঘর ছেড়ে চলে যাওয়া অন্যথায়, প্রাণ মারার হুমকী দিয়ে তারা চলে যায়। খবর পেয়ে কোতয়ালী থানার এসআই বিসনু দেব এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে। এব্যাপরে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।