সংবাদ ডেস্ক ::  পৌষ-মাঘ এই দুমাস নিয়ে শীতকাল। এসময় শীত হবে এটাই স্বাভাবিক। আজ শনিবার পৌষ মাসের ২৩ তারিখ। শীত যেন বেকে বসেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শৈত্য প্রবাহ। দেশের সব বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ। এতে কাঁপছে সারা দেশ। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষরা পড়েছেন দুর্ভোগে। ছিন্নমূল মানুষদের কষ্ট আরও বেড়েছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ায় শীত বেড়েছে বাংলাদেশে। এই শৈত্য প্রবাহ চলতে পারে আরও দুই এক দিন।

শৈত্য প্রবাহ এবং শীতে বিশেষ করে উত্তর অঞ্চলের মানুষ পড়েছেন বিপাকে। পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামরী, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও ও দিনাপপুরের খেটে খাওয়া মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। শীতজনিত রোগও বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি। শ্রমজীবী মানুষ কনকনে শীতে মাঠে কাজ করতে পারছেন না। কোনো কোনো দিন রোধের দেখাও পাচ্ছেন না এসব জেলার কোনো কোনো গ্রাম।

শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

শুক্রবার ঢাকায় থার্মোমিটারের পারদ ১১ দশমিক ৫, রংপুরে ১০, দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৪, শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৪, টাঙ্গাইলে ৯ দশমিক ৮, গোপালগঞ্জে ৯ দশমিক ৭, ময়মনসিংহে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে।

দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে, ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে তীব্র ঠাণ্ডায় কোথাও কোথাও কোল্ড ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামে দেড় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে ডায়রিয়ায়। শীতে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষকে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, শ্রীমঙ্গল এলাকাসহ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে চলা শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং আশপাশের এলাকায় বিস্তৃত হতে পারে।

শনিবার দিন ও রাতের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা আবহাওয়া অফিস দেখছে না বলে জানায়।

শীত মৌসুমে প্রতিদিনই মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার দাপট থাকে। শনিবারের আবহাওয়ার বুলেটিনেও একই আভাস দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে একটি মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা তীব্র (৪-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং ২-৩টি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here