বিশেষ প্রতিবেদন :: কাক একটি অতি পরিচিত পাখি অর্থাৎ আমাদের পরমবন্ধু। প্রতিদিন ভোর হয় কাকের ডাকে। রাত শেষে যখন ভোরের আগমনীবার্তা আসে তখনি কাক তার সুমধুর কন্ঠে ভোরকে আহ্বান জানায়।
কাক একটি অতি জনপরিচিত পাখি। অন্য সব পাখির মত কাক হয়তো অত সুন্দর না। কিন্তু কাক পরিবেশ এর ভারসাম্য রক্ষায় অনেক গুরুত্ব বহন করে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে কাক আছে। কাক একটি রাক্ষুসে পাখি। আমাদের পরিবেশে অনেক অবাঞ্চিত বস্তু কাক খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে যেগুলো পরিবেশে উচ্ছিষ্ট হিসেবে আমরা ফেলে রাখি। এসকল বস্তু পরিবেশে ধূষণ সৃষ্টি করে, কাক সেগুলো আহার হিসেবে ব্যবহার করে ফলে পরিবেশে এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া হয়না। এছাড়া কাক আবর্জনা দিয়ে বাসা তৈরী করে । সম্ভবত এজন্য কাক কে ঝাড়ুদার পাখি বলা হয়ে থাকে।
কিন্তু দু:খের বিষয় আজ আমাদের অবহেলায় আর আমার অত্যাচারী মন তাদের আবাসস্থল সহ নানা রকম বিষ দ্রব্য আমাদের প্রতিদিন ব্যবহারে প্রতিদিনই হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রকৃতির পরম বন্ধু এই পাখিটি। তারা আমাদের চারপাশের নানান আর্বজন খেয়ে আমাদের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখে। কিন্তু তাদের এই আবর্জন খাবার মধ্যে প্রতিদিনই তারা নানা রকম বিষ খেয়ে মৃত্যু পথে এগিয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে। অন্যদিকে প্রকৃতি থেকে কারণে অকারণে গাছপালা ধ্বংসের কারণে কাক তাদের আবাসস্থল হারিয়ে এখন আশ্রয় নিচ্ছে মানুষের গৃহের কোণে কিন্তু সেটিও যেন তাদের জন্য নিরপদ নয়। মানুষ কারণে ও অকারণে তাদের বিরক্ত অথবা হত্যা করে। ফলে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের পরম এই বন্ধু কাক।
দু:খের বিষয় হচ্ছে এটি আমাদের বন ও পরিবেশ বিভাগের অন্য সব প্রাণি সংরক্ষণের ব্যাপারে নানা কর্মসূচি থাকলেও কাকে সেই তালিকায় স্থান পায়নি এখনও। আর এ অবস্থা চলতে থাকলে একদিন দেখা যাবে আমাদের ভোরের আহ্বান এ পাখিটি একদিন আর আমাদের মাঝে থাকবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here