সংবাদ ডেস্ক ::  মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ছয়টি বধ্যভূমির মধ্যে একটিতে স্মৃতিসৌধ নির্মিত হলেও বাকি পাঁচটি বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ এখনও নেওয়া হয়নি। অরক্ষিত এই পাঁচটি বধ্যভূমি আজও ঝোঁপঝাড় আচ্ছাদিত হয়ে পড়ে আছে।

দেশ স্বাধীনের ২৪ বছর পর ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সরকার, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল মৌলভীবাজার জেলায় অনুসন্ধান চালিয়ে ৮টি বধ্যভূমি বাছাই করেন। তার মধ্যে কমলগঞ্জ উপজেলায় শুধু শমসেরনগর বধ্যভূমিকে চিহ্নিত করা হয় সংস্কার ও সংরক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য। পরে ১৯৯৯ সালে চিহ্নিত এই বধ্যভূমির স্থান সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

বিগত ২০০৭ সালে শমসেরনগর বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মিত হলেও এই উপজেলার দেওড়াছড়া, প্রতাপী, চৈত্রঘাট, ছয়ছিরি ও আদিয়া বধ্যভূমিকে বধ্যভূমি হিসাবে যেমন চিহ্নিত ও বাছাই করা হয়নি তেমনি সংরক্ষণ এবং স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এসব স্থানে অনেককে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছিল পাক হানাদাররা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গণহত্যা চালানো হয়েছিল কমলগঞ্জের দেওড়াছড়ায়। একই দিনে সেখানে গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন ৭০ জন চা শ্রমিক। ওই স্থানে তাদের স্মৃতিরক্ষার জন্য এখনও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

মৌলভীবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. জামাল উদ্দিন মাধ্যমকে জানান, ‘মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা চেয়েছে। আমরা জেলা সদরসহ এখনও যেসব উপজেলায় অরিক্ষত বধ্যভূমি আছে, তার তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক অনুদান পেলে কাজ শুরু হবে।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here