সংবাদ ডেস্ক :: রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আগামী ২০১৮ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়মে ভোক্তাদের কাছ থেকে বাড়তি খরচ ধরবে দেশটি।

তবে দেশটির কর্মকর্তাদের দাবি, বাড়তি খরচের ফলে আমিরাত থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোতে কোনো প্রভাব পড়বে না।

ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড রেমিট্যান্স গ্রুপের কোষাধ্যক্ষ রাজিব অশোক রাইপাঞ্চলিয়া জানান, আমাদের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশে পাঠায় ভোক্তারা। সেখান থেকে পাঁচ শতাংশ ভ্যাট কাটা হবে।

এক হাজার দিরহাম পাঠাতে ১৬ দিরহাম খরচ হয় এবং এক হাজার দিরহামের বেশি হলে ২২ দিরহাম ভ্যাট কাটার কথা। তবে অনেক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান ১০ দিরহাম এবং ১৫ দিরহাম নেয়।

সংযুক্ত আরব আমিরাত এ খাতে ঠিক কী পরিমাণ অর্থ আয় করে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেননি কোষাধ্যক্ষ রাজিব অশোক।

তবে তিনি জানান, ১ জানুয়ারি ২০১৮ সাল থেকে জিসিসি কর চুক্তির অধীনে পণ্য ও সেবায় পাঁচ শতাংশ ভ্যাট নেবে আমিরাত সরকার। বিশ্বের একশ ৫০টি দেশের মধ্যে আমিরাতের পাঁচ শতাংশ ভ্যাট সর্বনিম্ন হিসেবেও দাবি করেন তিনি।

এফইআরজির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আল আনসারি জানান, এটা একেবারেই কম খরচ। রেমিট্যান্স পাঠানোতে কোনো প্রভাব পড়বে না। এছাড়া অন্যান্য ব্যবসাতেও তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।

তবে সেখানকার বাসিন্দা কিংবা পর্যটকরা মুদ্রা লেনদেন করলে ভ্যাট প্রযোজ্য হবে না। এফইআরজির সেক্রেটারি আদিব আহমেদ জানান, এক থেকে দুই দিরহামের ভ্যাট নিয়ে আপনারা কথা বলছেন। এর মাধ্যমে বড় ধরনের কোনো প্রভাব পড়বে না।

মুহাম্মদ আল আনসারি ভবিষ্যদ্বাণী করেন, আগামী বছর একশ ২০ থেকে ৩০ বিলিয়ন দিরহাম রেমিট্যান্স পাঠানো হতে পারে। এখনই প্রতি মাসে ১০ বিলিয়ন রেমিট্যান্স পাঠানো হচ্ছে।

আমিরাতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবমতে ২০১৭ সালের প্রথমার্ধে ৭৮ বিলিয়ন দিরহাম রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসী শ্রমিকরা।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here