সংবাদ ডেস্কঃ হবিগঞ্জ শহরে চাঁদের হাসি হাসপাতালে সিজারের সময় প্রসূতির পেটে তোয়ালে রেখেই সেলাই করে দিয়েছেন চিকিৎসক। শহরের শায়েস্তানগর এলাকার বাসিন্দা সঞ্জিব সরকারের স্ত্রীকে প্রসবজনিত কারণে হাসপাতালে ভার্তি করলে সেখানে সিজার করার সময় তার পেটে তোয়ালে রেখে সলোই করে দেয়া হয়।এর ফলে শরীরের ইনফেকশন বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়লে ৩ মাস পর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রোগীর পেট থেকে ওই তোয়ালে বের করা হয়েছে ।
জানা গেছে, ২৩ অগাস্ট শহরের শায়েস্তানগর এলাকার বাসিন্দা সঞ্জীব সরকারের স্ত্রী মল্লিকা দাসকে প্রসব করানোর জন্য কোর্ট মসজিদ সংলগ্ন চাঁদের হাসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে সিজারের উদ্যোগ নেয়। ওই দিনই তার সিজার করেন ডা. এসকে ঘোষ।
সিজারের পর মল্লিকার পেটের ভেতর একটি তোয়ালে রেখেই সেলাই করেন চিকিৎসক। এর কয়েকদিন পর থেকেই মল্লিকা পেটে ব্যথা অনুভব করতে থাকেন। ব্যথা বাড়ায় বেশ কয়েকদিন পর আবারও তাকে চাঁদের হাসি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার পরিক্ষা নিরীক্ষা করে ধারণা করেন পেটের ভেতর কিছু রয়ে গেছে।
শেষ পর্যন্ত আরও একাধিক পরিক্ষা নিরীক্ষা শেষে শুক্রবার শহরের অপর ক্লিনিক হেলথ কেয়ারে নিয়ে তাকে ভর্তি করা হয়। রাতে তার পেটে আবারও অস্ত্রোপচার করেন ডা. আবুল কালাম চৌধুরী। এসময় তার পেট থেকে একটি তোয়ালে বের করা হয়। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. সুচিন্ত চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।