সংবাদ ডেস্ক :অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, আগামী বাজেট হবে সাদামাটা বাজেট। এটি কোন উচ্চভিলাসী বাজেট হবে না। আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে পারে ৪ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার। গতকাল রবিবার সচিবালয়ে কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল ও বাজেট প্রস্তাবনা সংক্রান্ত বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান। বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ব্যাংক গর্ভনর ড. ফজলে কবির, এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব মুসলিম চৌধুরী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের আগামী বাজেট সম্পর্কে বলেন, আমাদের অর্থনীতির অবস্থা অনুসারে আমি গত ৮-৯ বছরে বাজেটের আকার বাড়াতে চেয়েছি তা আগামী বাজেটেও প্রতিফলিত হবে। এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হবে। এবছর তো ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট ছিল। সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ হবে ৩ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের বাজেট হবে ৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। এটা প্রাথমিক প্রাক্কলন।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন ভালো উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারের অগ্রগতি গতবারের থেকে কিছুটা ভালো। তিনি বলেন, আমরা তো মনে করছি আগামী নির্বাচনে আমরাই জিতবো। তাই কোন দায়-সাড়া বাজেট দিবো না।
রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত বছর ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। এবার আমরা ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি চাচ্ছি। এখন পর্যন্ত কর আদায় ভালো। আর ভালো দিক হচ্ছে, করদাতার সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে টার্গেট ২৫ লাখ, সেটা হয়েছে ৩২ লাখ। বাংলাদেশের উজ্জল যুবকরা মনে করে এটা তাদের দায়িত্ব।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি আমরা ধরেছি ৭ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। আমাদের পরিকল্পনা মন্ত্রী জানালেন এই টার্গেট ছাড়িয়ে যাবে। আমারও তাই মনে হয়। প্রথম প্রান্তিকের পারফরম্যান্স খুব ভালো।
রেহিঙ্গা নিয়ে একটি হিসাব কষা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আমরা করছি। কারণ, যারা মায়ানমারে ফিরে যাবে, এটা খুবই কম সংখ্যক হবে। তাদের এখানেই থাকতে হবে। তাই আগামী বাজেটে তাদের জন্য কিছুটা বরাদ্দ আমরা দিবো।
বিভিন্ন ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের ঋণ ও অর্থায়নের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা জানতে চাইছি সারাদেশে তাদের কী পরিমান ঋণ রয়েছে। আমার ধারনা মতে তাদের যে ঋণ রয়েছে সেটি অন্যান্য উত্স থেকে নেওয়া। তারপরে দেখা যাবে কি করা যায়।