সংবাদ ডেস্ক :: স্বাধীনতাবিরোধী দল হিসেবে পরিচিত জামায়াতে ইসলামীর চিহ্নিত নেতারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও দাঁড়াতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি জানান, জামায়াতের কেউ প্রার্থী হতে চাইলে নির্বাচন কমিশন বিষয়টি আলাদাভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করবে।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা জানান।

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের স্বশস্ত্র বিরোধিতার অভিযোগ রয়েছে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দলটির শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতার বিচার হয়েছে। বিচারাধীন আছেন আরও কয়েকজন নেতা। দল হিসেবে জামায়াতকেও আদালত স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় দলটির নিবন্ধন বাতিলের রায় দেয় হাইকোর্ট৷ ২০০৮ সালে দলটি নিবন্ধন পেলেও ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

কারও বিরুদ্ধে জামায়াত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠলে নির্বাচন কমিশন পর্যালোচনা করবে জানিয়ে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘কেউ একটা ধোঁয়া তুলে দিল যে অমুক জামায়াতের লোক, তাহলে সেটার বিষয়ে আমি কেমন করে বলব। কোনো অভিযোগ পেলে সেটি কমিশন আগে পর্যালোচনা করে দেখবে। জামায়াতের সবাইতো চিহ্নিত না। যারা চিহ্নিত তারা অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।’

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এজন্য তাদের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তারা দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here