সংবাদ ডেস্ক :: বিএনপির সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘এটা খতিয়ে দেখতে হবে, খোঁজ নিতে হবে বাধাটা কে দিচ্ছে। বিএনপি তো নিজেরাই নিজেদের বাধা দেয়।’

রোববার দুপুরে রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় জাতীয় সড়ক পরিবহন নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৫তম সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে দলের নেতা-কর্মীদের সরকার বাধা দিচ্ছে, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অতীতে এসব অভিযোগের খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা গেছে, এসব অভিযোগের বাস্তব কোনো ভিত্তি নেই। আসলে কথায় কথায় নালিশ করা বিএনপির পুরোনো অভ্যাস।’

ঢাকায় প্রবেশ পথে এবং রাজধানীর রাস্তায় যানবাহন সংকট এবং দূরপাল্লার পরিবহনও রাস্তায় দেখা যাচ্ছে না, এটা কেন হচ্ছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা আমি জানি না।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কি সহায়ক নাকি তত্ত্বাবধায়ক? তারা একবার বলে সহায়ক সরকার, আবার বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আসলে তারা কী চান, তা কী আজ পরিষ্কার করবেন বেগম খালেদা জিয়া? তিনি বলেন, তারা কী চান, দেশের জনগণ তা জানতে চায়। কথা তো পরিষ্কার, সহায়ক ও তত্ত্বাবধায়ক তো মামা বাড়ির আবদার না। আওয়ামী লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না।’

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৮ নভেম্বর ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতির জন্য আমরা সমাবেশ দিয়েছি শনিবার দেখে। এ ধরনের সমাবেশে জনভোগান্তি হবেই, এটাকে সহনীয় মাত্রায় রাখা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। কিন্তু আজকে তো সহনীয় মাত্রায় নেই। সহনশীলতার মাত্রা অতিক্রম করে এখন রাস্তা অচল হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সংবর্ধনার দিনও একই অবস্থা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল, সেখানে দলের মহিলা নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিও তাদের (বিএনপি) সম্মিলিত উপস্থিতির চেয়েও বেশি ছিল। তারপরও নেতা-কর্মীরা ফুটপাতে সুশৃঙ্খল পরিবেশে ছিল। যারা আজকে রাস্তা অচল করে সভা-সমাবেশ করে , তারা ক্ষমতায় আসলে দেশ অচল করবে।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন, নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কাঞ্চন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, পুলিশের ডিআইজি মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here