উদ্বোধনী ম্যাচ থেকে শুরু করে টানা তৃতীয় ম্যাচ জিতে আকাশে উড়ছে নাসির হোসেনের সিলেট সিক্সার্স। প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটস, দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে হারানোর পর আজ তৃতীয় ম্যাচে বর্তমান রানার্সআপ রাজশাহী কিংসকে ৩৩ রানে উড়িয়ে দিল সিলেট।
সিলেটের দেওয়া ২০৬ রানের টার্গেট ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৭২ রানেই থামল ড্যারেন স্যামির দল।
২০৬ রানের বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫০ রানের জুটি গড়েন লুক রাইট এবং মুমিনুল হক। ১৬ বলে ২৪ রান করে প্ল্যাংকেটের বলে মুমিনুল ক্যাচ দিলে ভাঙে সেই জুটি। রনি তালুকদারও উইকেটে এসে ০ রানে ফিরেন। উইকেটকিপার হিসেবে খেলা মুশফিকুর রহিম আবুল হাসানের বলে সাব্বিরের তালুবন্দী হওয়ার আগে করেন ১২ বলে ১১ রান। বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের চলতি আসরটা ভালো যাচ্ছে না।
তবে এর মধ্যেই লুক রাইট হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ফ্র্যাংকলিন। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৫৬ রান করা লুক রাইটকে থামান কামরুল ইসলাম রাব্বি।
৩৫ রান করে ফ্র্যাংকলিন রান-আউট হয়ে যান। সামিত প্যাটেলকে ০ রানে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দ্বিতীয় শিকার ধরেন আবুল হাসান। আবুল হাসানের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি (৯)। শেষটা ছেঁটে দেন প্ল্যাংকেট।
এর আগে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে যথারীতি উড়ন্ত সূচনা করে সিলেট সিক্সার্স। ৬৩ বলে ১০১ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন শ্রীলঙ্কার উপুল থারাঙ্গা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার। ৩৭ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ৫০ রান করে ফ্র্যাংকলিনের বলে রাজশাহী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির তালুবন্দী হন থারাঙ্গা। অপর ওপেনার ফ্লেচার ২ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করেন। তার ৩০ বলে ৫ চার ৩ ছক্কায় ৪৮ রানের ইনিংসটি থামে রান-আউটে।
তিন নম্বরে নেমে সাব্বির রহমান আজও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফিরেছেন ১৪ বলে ১ বাউন্ডারিতে মাত্র ১৬ রান করে। ২১ বলে ৪২ রানের ঝড় তুলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ দেন আরেক লঙ্কান তারকা দানুশকা গুনাথিলাকা। দ্বিতীয় ম্যাচের হিরো উইকেটকিপার নুরুল হাসান আজ ০ রানেই আউট হয়েছেন। তাতে খুব একটা ক্ষতি হয়নি। নির্ধারিত ২০ ওভার ৬ উইকেটে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছে সিলেট সিক্সার্স।