স্পোর্টস ডেস্ক :: ‘বাজে দিন’ যাওয়ায় সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে শনিবারের হারকে বড় করে নেয়নি ঢাকা ডায়নামাইটস। কেন নেয়নি তা বোঝা গেল ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে।
সাকিবের ঢাকার দিনটা ‘বাজে’ কাটেনি। ব্যাট-বলে অসাধারণ দিন কাটিয়ে প্রতিপক্ষ খুলনা টাইটান্সকে উড়িয়ে দিয়েছে বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। কাগজে-কলমে ঢাকাকে কেন শক্তিশালী বলা হচ্ছে সেটা আরেকবার মনে করিয়ে দিল ঢাকা। প্রতিপক্ষ হিসেবে খুলনা টাইটান্সও যথেষ্ট শক্তিশালী। কিন্তু ঢাকা নিজেদের দিনে ভয়ংকর, বিধ্বংসী। মাঠের পারফরম্যান্স সেটাই প্রমাণ করে।
খুলনার আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২০২ রান করে ঢাকা। জবাবে ৬৫ রানের জয় দিয়ে টুর্নামেন্টে জয়ের খাতা খুলল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। ‘বুড়ো’ কুমার সাঙ্গাকারা শফিউলের করা চতুর্থ ওভারের প্রথম তিন বলে ১৪ রান তুলে ষষ্ঠ বলে আউট হয়। ১২ বলে ২০ রান করেন সাঙ্গাকারা। দ্বিতীয় উইকেটে ৯ ওভারে ১১৬ রান পায় ঢাকা। সেটাও দুই বিস্ফোরক বিদেশি ব্যাটসম্যান এভিন লুইস ও ক্যামেরুন ডেলপোর্টের ব্যাট থেকে। খুলনার প্রতিটি বোলারকে কড়া শাসন করে এলোমেলো করে দেয় তাদের বোলিং আক্রমণ।
এভিন লুইসকে ১৩তম ওভারের শেষ বলে আউট করে এ জুটি ভাঙেন শফিউল। এ জুটি ভাঙার পর খুলনার বোলাররা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলে। শেষ ৪২ বলে মাত্র ৪৮ রান তুলে ঢাকা। সাকিব (১), পোলার্ড (৫), জহরুল ইসলাম অমি (৩) কেউ-ই রান পাননি। তবে সুনিল নারিন ১৬ ও মোসাদ্দেক করেন ১০ রান। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন লুইস। বাঁহাতি এ ওপেনার ৩০ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান। তবে ক্যামেরুন ডেলপোর্ট খুলনাকে বড় ধাক্কাটা দেন। মাত্র ৩১ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন।
খুলনার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন শফিউল ইসলাম ও আবু জায়েদ। তবে দুজনই ছিলেন খরুচে। শফিউল ৪ ওভারে দেন ৪১ রান, রাহী ৪ ওভারে ব্যয় করেন ২৯ রান। ১ ওভার করে বোলিং করেন রুবেল ও মাহমুদউল্লাহ। রুবেল ২১ ও মাহমুদউল্লাহ দেন ১১ রান।
২০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শতরানের আগেই ৭ ব্যাটসম্যানকে হারায় খুলনা। ঢাকার দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণের সামনে মাথা নুইয়ে খুলনার ব্যাটসম্যানরা সাজঘরে ফিরেন। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পাশাপাশি ঢাকার ফিল্ডিংও ছিল দারুণ। প্রথমসারির ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে না পারায় শেষ দিকে চাপ বাড়ে খুলনার। কিন্তু লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা স্কোরবোর্ডে সামান্য রান যোগ করে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় মাত্র। ১৮.১ ওভারে ১৩৭ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন জোফরা আর্চার। ৩০ রান আসে চ্যাডউইক ওয়ালটনের ব্যাট থেকে।
বল হাতে ঢাকার সেরা বোলার পেসার আবু হায়দার রনি। ১৩ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন সাকিব, নারিন ও খালেদ আহমেদ। প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে নজর কেড়েছেন সিলেটের খালেদ আহমেদ।